প্রকাশিত: ২১/০৮/২০১৬ ৮:১১ এএম

শামীম ইকবাল চৌধুরী,নাইক্ষ্যংছড়ি ::

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভূয়াঁ কমিটি গঠন নিয়ে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের মাঝে। এতে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা যায়, গত ১৮ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটির মতামত ছাড়াই এবং সভা আহ্বান না করে একক স্বেচ্ছারিতায় আহ্বায়ক স্বাক্ষর করে অনুমোদন দিয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গঁ কমিটি। এসব ভূয়াঁ কমিটি আবার কিছু দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করার চেষ্টাও চালাছে। এর জের ধরে বাইশারী ইউনিয়নের তৃনমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম হতাশা ক্ষোভ, বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হলে উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের স্বাক্ষর সম্বলিত প্যাডে কমিটি গঠন করে প্রকাশ করার নিয়ম থাকলেও উপজেলা আওয়ামীলীগের শুধু মাত্র আহ্বায়ক ক্যউচিং চাক্ একটি অবৈধ প্রক্রিয়ায়, স্বেচ্ছা চারিতায় ও বাণিজ্যিকিরণের মাধ্যমে সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপস্থি পরিবেশ সৃষ্টি করে উক্ত ইউনিয়নের কমিটি ঘোষনা করেন। যা গঠনতন্ত্র পরিপন্থি।

বিশ্বস্থ সুত্রে জানা যায়, উক্ত ইউনিয়নে যাদের দিয়ে কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে তাদের বেশিরভাগ নেতাকর্মীই জেএসএস, ভূমি দূস্য,চাদাঁবাজসহ বিভিন্ন অনৈতিক কার্যাবলীর সাথে ওতপ্রতভাবে জড়িত।

এ ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। ফলে তৃণমূল নেতাদের মাঝে ব্যাপক হতাশা, ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা যুগ্নআহ্বায়ক তছলিম ইকবাল চৌধুরী বলেন, বাইশারী ইউনিয়নের ভূয়াঁ কমিটি গঠন হয়েছে শুনে বিস্মিত হলাম। কারণ যাদেরকে দিয়ে কমিটি দেয়া হয়েছে তাদের বেশির ভাগ নেতাকর্মী বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি বিভিন্ন কাযকলাপে যুক্ত। আমরা এ ধরনের বির্তকিত কমিটির বিরুদ্ধে জোর প্রতিবাদ নিন্দা ও অনাস্থা জ্ঞাপন করছি।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোঃ আলম কোম্পানী চেয়ারম্যান বলেন, সম্প্রতি ইউনিয়নের ভূয়াঁ কমিটি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশের চেষ্টা চালাছে বলে জানাতে পারলাম। আমরা উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটির ১১ জনের মধ্যে সদস্য সচিবসহ ৮ জনেই এ বিষয়ে অবগত নই। ইতিমধ্যে এই কমিটির বিষয় নিয়ে কোন ধরনের সভা বৈঠক হয়নি। ফলে কমিটি গঠন হতেই পারে না।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হারেজ সরওয়ার বলেন, বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নাশকতাকারী জামাত-শিবির ও পাহাড়ী সংগঠন জেএসএস ক্যাডাররা ছদ্মবেশে এখন আ’লীগ ও অঙ্গ সংগঠনে ঢুকে পড়েছে। এতে কিছু স্বার্থান্বেষী নেতাকর্মী তাদেরকে ব্যবহার করছে। এভাবে ঢুকে পড়া জামাত-শিবির ও জেএসএস ক্যাডাররা ছদ্মবেশে বাইশারীতে বেশ কয়েকটি হত্যা কান্ডসহ উপজেলাকে উত্তপ্ত করতে নানাভাবে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে হত্যা ও জঙ্গি মুক্ত করা সম্ভব হবে না। তাই জামাত-শিবির কিংবা জেএসএস সদস্যদেরকে আঃলীগ সংগঠনে স্থান দেওয়া এসব  প্রশ্রয়দানকারী সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই প্রশ্রয়দাতা যদি কোন আ’লীগের বড় নেতাও হয় তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

পাঠকের মতামত

প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী

ঢাকা, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রামুসহ সারা দেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা শান্তিপূর্ণভাবে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘর্ষ, বাংলাদেশিসহ গুলিবিদ্ধ ৫

কক্সবাজারের উখিয়ার জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক বাংলাদেশিসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।ক্যাম্প অভ্যন্তরের থাকা ...

রামু সরকারি কলেজে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ৩ দিনে, ২ সপ্তাহেও চিঠি পাননি তদন্ত কর্মকর্তা

কক্সবাজারের রামু সরকারি কলেজের অচলাবস্থা নিরসনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে আর্থিক ক্ষমতা দেওয়ার জন্য গত ১ অক্টোবর ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিয়ে করতে মালয়েশিয়া যাচ্ছিল দুই তরুণী

সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতিকালে কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১২ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষসহ ২০ জনকে ...

উখিয়ায় উন্মুক্ত কারাগারের জায়গা পরিদর্শনে নবনিযুক্ত ‘আইজি প্রিজন্স’

কক্সবাজারের উখিয়ায় দেশের প্রথম উন্মুক্ত কারাগারের জায়গা ও জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন নবনিযুক্ত আইজি প্রিজন্স ...